জুবের আহমদ: রাতের ভোটে নির্বাচিত হওয়া বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকার কেনো বিনা উস্কানিতে নিরীহ মুসল্লিদের উপর গুলি চালালো? আর কেনোইবা স্বাধীনতার এই সূবর্নজয়ন্তির উৎসবকে রক্তে রন্জিত করলো ? আর কেনোইবা, গুজরাটের কসাই মোদিকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার এইদিনে আনতেই হলো ?
এর উত্তর খুঁজতে গিয়ে আমি যেটা পেয়েছি তা হলো, এইসব কিছু আওয়ামীলীগ সরকার করেছে তার নিজস্ব ফায়দা হাসিলের জন্য । ক্ষমতাকে দীর্ঘস্থায়ী করার জন্য । আর এতে যদি ১০-১২ টা লাশ পরে তাতেও কিছু যায় আসেনা । কারন মোদিকে দেখাতে হবে,এদেশে তুমার বিরুদ্ধে ইসলামি শক্তিগুলো একাট্টা । ভারতের বিরুদ্ধে ও এদেশের জনরোষ দিনদিন বাড়ছে । তাই এদেরকে দমাতে হলে আর তুমার স্বার্থ সার্ভ করতে হলে আমার প্রয়োজন ।সুতরাং আমাকে সাপোর্ট দেওয়া ছাড়া তুমার আর কোন বিকল্প নেই ।
আমি এই কথাটা কেনো বললাম ? দেখেন আওয়ামীলীগের কাছে মুক্তিযুদ্বের চেতনা, স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি এইসব ভাঁওতাবাজী । তাদের প্রয়োজনে তারা স্বাধীনতার ভুলি আওড়ায় আর তাদের প্রয়োজনে স্বাধীনতা ভুলন্ঠিত করে । আচ্ছা বলেন তো , সূবর্নজয়ন্তির এইদিনে , যখন প্রত্যেকটি দল তাদের কর্মসূচি স্হগিত করেছিলো, এবং হেফাজতে ইসলাম কোন কর্মসূচী দেয়নি , সেইসময় কেনো বায়তুল মোকাররমে ডুকে অতর্কিত হামলা চালানো হলো ? তা ও আবার শুধু পুলিশ দিয়ে নয় ,সাথে হেলমেট বাহিনীও ছিলো !! আচ্ছা এসব হামলা কি পূর্ব পরিকল্পিত ছিলোনা ? যদি পরিকল্পনা না থাকতো তাহলে হেলমেট বাহিনী আগে থেকেই কেনো পুলিশের সহযোগী ছিলো ?
সরকারের কথা হলো, যে কোন উপায়ে পরিস্তিতি উত্তপ্ত করতে হবে । এতে করে যদি সূবর্নজয়ন্তি উৎযাপন ভুলন্ঠিত হয় তাতে তাদের কিছু যায় আসেনা । তাদের মূল উদ্দেশ্য স্বাধীনতার সূবর্নজয়ন্তি উৎযাপন নয় , উদ্দেশ্যে ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করা । মোদিকে দেখাতে হবে, এই দেশের জনগন এবং বিশেষ করে ইসলামপন্হীরা তুমার বিরুধী । তাই তাদেরকে গুলি করে উস্কানি দেও, প্রতিবাদে তারা মিছিল করবে, সেই মিছিলে গুলি করো, কয়েকটি লাশ মোদিকে উপহার দেও । মোদিকে বুজাতে হবে, আমার সরকার তুমাকে ভালোবাসে, তুমার জন্য লাশের সাড়ি সাড়ি স্তুপ বানাতে পারি । শুধু আমার মাথায় তুমার আশির্বাদ দিও ।
দেখেন হাটহাজারিতে কোন কর্মসূচী আগে থেকেই ছিলোনা, বায়তুল মোকারমের পুলিশের অতর্কিত হামলার খবর সেখানে পৌছালে তারা বিক্ষুব্ধ হয়ে সেখানে মিছিল বের করে । ফলাফল সেই মিছিলে পুলিশ গুলি করে পাঁচজন ভাইকে শহীদ করে । এরপর সারা বাংলাদেশে এই আন্দোলন ছড়িয়ে পরে । অর্থাৎ বর্তমান সরকার যেটা চেয়েছিলো সেটাই হচ্ছে । কিনন্তু প্রশ্ন হলো এভাবে আর কতোদিন ? আর কতো মায়ের বুক খালি করবে এই সরকার ? এই দেশের জনগনের গনতান্ত্রিক আন্দোলন করার অধিকার কি নেই ? পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে পারলেও বর্তমান হানাদারদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করা যাচ্ছেনা । তাহলে আমরা কি স্বাধীন ? কথা বললে, জেল জরিমানা হচ্ছে, গুম খুন হচ্ছে । চারিদিকে আতংকের পরিবেশ ? এইজন্য কি স্বাধীন হয়েছিলো আমার সোনার বাংলা ?